Social Icons

Pages

Monday, February 20, 2017

21 February International Mother Language Day.( আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস )

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?



শ্রদ্ধা ভরে  স্মরণ করছি সেই সব ভাষা শহীদদের যাদের রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা বাংলায় কথা বলতে পারছি ...

২১ শে ফেব্রুয়ারী যেভাবে হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

২১শে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে’ পরিণত করার ভাবনা প্রথমে আসে কানাডার ভাংকুভারে প্রবাসী বাঙালি জনাব রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালামের মাথায়। বাংলা ভাষা রক্ষার জন্য বাঙালিরা প্রাণ দিয়েছে, কাজেই তাদের এই অবদানের সম্মানার্থে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে যেন ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ঘোষণা করা হয়, এ ব্যাপারে তারা ১৯৯৮ সালের জানুয়ারি মাসে জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানকে চিঠি লেখেন। ইতিমধ্যে প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেছে। এরপর জাতিসংঘ থেকে দিকনির্দেশনা পেয়ে তারা বিষয়টি প্যারিসে ইউনেস্কোর সদর দফতরে প্রেরণ করেন। সেখান থেকে তাদের ১৯৯৯ সালের এপ্রিল মাসে জানানো হলো, ‘তোমাদের বিষয়টি খুবই ইন্টারেস্টিং, ইউনেস্কো এ ধরনের প্রস্তাব পেলে তা আলোচনা করে থাকে। বিষয়টি অক্টোবরে প্যারিসে অনুষ্ঠেয় ইউনেস্কো সম্মেলনে তুলতে হবে এবং তা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে হলে চলবে না, কোনো সদস্য রাষ্ট্র কর্তৃক অফিসিয়াল ভাবে উত্থাপন করতে হবে।’ এরপর রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালাম বিষয়টি সবিস্তারে ব্যাখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠান। । এদিকে হাতে সময় ছিল খুবই কম। কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে ইউনেস্কো সদর দফতরে এ প্রস্তাব পাঠানোর শেষ তারিখ ছিল ১০ সেপ্টেম্বর।
শিক্ষামন্ত্রী বিষয়টি তাৎণিকভাবে তৎকালিন প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিতে আনেন। তখন দেশটি মাত্র ক্রিকেট টেষ্ট স্ট্যাটাস পেয়ে উজ্জিবিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে সময় নষ্ট না করে ত্বরিত সিদ্ধান্ত দেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘ভাষা ও সংস্কৃতির বিভিন্নতা সংরক্ষণ’ সম্পর্কিত ইউনেস্কোর নীতিমালার আলোকে ইউনেস্কোর ৩০ তম সাধারণ সম্মেলনে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করার ব্যাবস্থা করা হয়।
প্রস্তাবটি প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দফতরে নেয়া হয়। এরপর ২৬ অক্টোবর ইউনেস্কো সচিবালয়ে এ প্রস্তাব নিয়ে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে বাজেটের কথা বিবেচনা করে প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। মহাপরিচালকের মতামত এই প্রস্তাবটিকে রীতিমতো অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দেয়।
এমন হতাশাজনক পরিস্থিতিতে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মর্যাদা লাভের শেষ আশা জাগিয়ে তোলে ইউনেস্কোর অধিবেশনে যোগদানকারী শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্যে একটি বড়সর বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল। কূটনৈতিক প্রজ্ঞা, দক্ষতা ও বিচক্ষণতা এ ব্যাপারে মূল্যবান অবদান রাখে। ইউনেস্কোর ডেপুটি মহাসচিব কলিন পাওয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে বুঝিয়ে বলেন যে, আমাদের প্রস্তাবে যে বিষয়টির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে তা হলো, পৃথিবীর বুক থেকে দ্রুত বিলীয়মান মাতৃভাষাগুলোকে রক্ষা করা এবং তা টিকিয়ে রাখার লক্ষে বৃহত্তর সচেতনতা গড়ে তোলা। বাংলাদেশের প্রস্তাবটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য একজিকিউটিভ বোর্ডে প্রেরণের সুপারিশ করেন।
পাকিস্তানসহ সার্ক এবং প্রতিবেশী অন্যন্ন ২৮ টি সদস্যরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রস্তাবকে লিখিতভাবে সমর্থন জানায়। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, প্রস্তাবটি যদি একবার পরিক্ষা-নিরিক্ষার জন্য একজিকিউটিভ বোর্ডে প্রেরণ করা হতো তাহলে আর কোনো দিন তা আলোর মুখ দেখত বলে মনে হয় না।
ইউনেস্কোর টেকনিক্যাল কমিটি কমিশন-২এ বাংলাদেশের প্রস্তাবটি পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী উত্থাপিত হয় ১২ নভেম্বর।
কারো কোনো আপত্তি না থাকায় সভাপতি তিনবার হাতুড়ি পিটিয়ে প্রস্তাবটি গৃহীত হলো বলে ঘোষণা দিলেন। হাততালিতে মুখরিত হলো সম্মেলন কক্ষ।
এরপরের ঘটনা গতানগতিক।
কমিশন-২-এ পাস হওয়া প্রস্তাবটি ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ সাধারণ সম্মেলনে রুটিন বিষয় হিসেবেই গৃহীত হয়। ৪ জানুয়ারি ২০০০ তারিখে ইউনেস্কোর মহাপরিচালক কাইচিরো মাটসুরা এক চিঠিতে ইউনেস্কোর সব সদস্য রাষ্ট্রের প্রতি তখন থেকে প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালনের আহ্বান জানান।
ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়ে শুধু মাতৃভাষার জন্য আমাদের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগকেই স্বীকৃতি দেয়নি, অমর একুশের শহীদদের আত্নদান থেকে উৎসারিত স্বাধীনতা আন্দোলন ও স্বাধীনতা অর্জনকেও মর্যাদা দিয়েছে। জাতি হিসেবে আমাদের পৃথিবীর বুকে মহিমান্বিত করেছে। বিশ্বের ১৯০টি দেশে এখন প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপিত হচ্ছে।
তথ্য সংগ্রহ –
ভোরের কাগজ ১৯৯৯-২০০১
সাপ্তাহিক ২০০০,

Friday, February 17, 2017

দিনের বেলায় সূর্যের সোনালি আভায় ঝলমল করে রামজাদির চূড়া

 বান্দরবানের নবনির্মিত এই মন্দির এখন পর্যটকদের আকর্ষণ।পর্যটন নগর বান্দরবানের অনিন্দ্যসুন্দর এই মন্দিরের নাম রামজাদি। মন্দিরের উচ্চতা ১৩০ ফুট। সেদিক থেকে এটি দেশের অন্যতম উঁচু মন্দির।

কয়েক শ ধাপ সিঁড়ি দিয়ে উঠলেই চোখ ধাঁধিয়ে যায়। বাঁধানো চত্বর পার হলেই বৌদ্ধ স্থাপত্যে গড়া সাদা-সোনালি কারুকার্যের অপূর্ব মন্দির। মন্দিরের সোনালি চূড়ায় ঠিকরে পড়ছে সূর্যের আলো।

অনিন্দ্যসুন্দর এই মন্দিরের নাম রামজাদি। পর্যটন নগর বান্দরবানের মুকুটে নতুন পালক। মন্দিরের উচ্চতা ১৩০ ফুট। সেদিক থেকে এটি দেশের অন্যতম উঁচু মন্দিরও। বান্দরবানের আরেক বিখ্যাত মন্দির স্বর্ণজাদির চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি এর উচ্চতা। ১২ বছর ধরে নির্মাণকাজ চলার পর ১০ ফেব্রুয়ারি এটি পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকেই রামজাদির সৌন্দর্য দেখতে ছুটছেন পর্যটকেরা।
বান্দরবান-রোয়াংছড়ি সড়কের হদাবাবুর ঘোনায় পাহাড়ের চূড়ায় নির্মিত হয়েছে রামজাদি। মূল শহর থেকে ইজিবাইক িকংবা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মন্দিরে পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ১৫ মিনিট। মন্দিরটি উদ্বোধনের পর থেকেই দর্শনার্থীরা আসছেন। এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে ধর্মীয় মেলাও।
সম্প্রতি এই মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, পুণ্যার্থী ও পর্যটকেরা দলে দলে আসছেন মন্দির দেখতে। মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বারেই স্থাপন করা হয়েছে নয়টি বুদ্ধমূর্তি। এ ছাড়া মূল মন্দিরের ভেতরে ছোট বড় আরও ১ হাজার ৬১টি বুদ্ধ ও তাঁর নির্বাণপ্রাপ্ত শিষ্যদের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে।
পাহাড় ও অরণ্যবেষ্টিত এই মন্দিরের স্থপতি মিয়ানমারের উসান উইন। গুরু ভান্তে হিসেবে খ্যাত স্বর্ণমন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা উ পঞা জোত মহাথের এই মন্দিরেরও প্রতিষ্ঠাতা। রামজাদির নির্মাণ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বলেন, ২০০৪ সালে রামজাদির নির্মাণ শুরু হয়েছিল। বহু বাধাবিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে পুণ্যার্থীদের দান ও স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সড়ক নির্মাণে ও পাহাড়ের মাটি ক্ষয় রোধে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে।
মূল জাদি (মন্দির) ছাড়াও এখানে আরও ২৭টি ছোট জাদি রয়েছে। এগুলোর প্রতিটির উচ্চতা ২১ ফুট। মূল জাদি ও সহজাদিগুলোতে পুণ্যার্থীদের দান করা ১ হাজার ৬১টি বুদ্ধমূর্তি বসানো হয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি দণ্ডায়মান শ্বেতপাথরের বুদ্ধমূর্তি।   

ঢাকার কাছেই ঘুরে আসুন ‘ছোট কক্সবাজার’ থেকে !!!!!!

Add caption
রাজধানীর কোলাহল ছেড়ে একদিনের জন্য কোথাও বেড়াতে যেতে চাইলে মৈনট ঘাটকে বেছে নিতে পারেন৷ সেখানে গেলে পদ্মার সৌন্দর্য্য যেমন আপনাকে মোহিত করবে, তেমনি খেতে পাবেন পদ্মার তাজা ইলিশ৷
যেভাবে যেতে হবে
মৈনট ঘাটের অবস্থান ঢাকার দোহার উপজেলায়৷ গুলিস্তানের গোলাপশাহ মাজার থেকে সেখানে সরাসরি যাওয়ার বাস সার্ভিস আছে৷ ভাড়া জনপ্রতি ৯০ টাকা৷ সময় লাগবে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা৷
‘ছোট কক্সবাজার’
মৈনট ঘাটের আশেপাশে বিশেষ করে পূর্ব দিকে আছে বিশাল চর আর সামনে বিস্তীর্ণ পদ্মা৷ এই ঘাটের সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে অনেকেই একে ‘ছোট কক্সবাজার’ বা ‘মিনি কক্সবাজার’ নামে ডাকতে শুরু করেছে৷
পদ্মায় ঘুরে বেড়ানো
নৌকা কিংবা স্পিডবোটে করে পদ্মার বুকে ঘুরে বেড়াতে পারেন৷ আট জনের চড়ার উপযোগী একটি স্পিডবোটের ভাড়া আধ ঘণ্টার জন্য দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা৷ এছাড়া আড়াইশ থেকে ৮শ’ টাকা ঘণ্টায় ইঞ্জিন নৌকায় চার থেকে ২০-২৫ জন একসঙ্গে ঘুরে বেড়ানো যায়৷
পদ্মায় ঘুরে বেড়ানো
নৌকা কিংবা স্পিডবোটে করে পদ্মার বুকে ঘুরে বেড়াতে পারেন৷ আট জনের চড়ার উপযোগী একটি স্পিডবোটের ভাড়া আধ ঘণ্টার জন্য দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা৷ এছাড়া আড়াইশ থেকে ৮শ’ টাকা ঘণ্টায় ইঞ্জিন নৌকায় চার থেকে ২০-২৫ জন একসঙ্গে ঘুরে বেড়ানো যায়৷
সতর্ক থাকতে হবে
স্পিডবোট কিংবা নৌকায় করে পদ্মায় ঘোরার সময় লাইফ জ্যাকেট পরা উচিত৷ কেননা বর্ষা ও শরতের সময় পদ্মার ঢেউ হঠাৎ করেই বেড়ে যায়৷ তাই খুব ছোট নৌকা নিয়ে পদ্মার ভেতরে বেড়াতে যাওয়া ঠিক হবে না৷
টাটকা মাছ কিনুন
নৌকা করে ঘুরতে গিয়ে হয়ত জেলে নৌকার দেখা পেয়ে যেতে পারেন৷ তাহলে দেরি না করে একেবারে তাজা মাছ কিনে নিতে পারেন তাদের কাছ থেকে৷
খাবার ব্যবস্থা
মৈনট ঘাটের রেস্তোরাঁগুলোতে পদ্মার ইলিশের স্বাদ নেয়া যেতে পারে৷ এছাড়া ঘাটের কাছে কার্তিকপুর বাজারেও ভালো খাবারের ব্যবস্থা আছে৷
নবাবগঞ্জের অন্যান্য নিদর্শন
মৈনট ঘাট এলাকায় ঘোরার জন্য বিকালটা ভালো সময়৷ সূর্যাস্তও দেখা যাবে তখন৷ তার আগে সকালে মৈনট ঘাট যাওয়ার পথে নবাবগঞ্জে নেমে সেখানকার প্রাচীন স্থাপনাগুলো দেখা যেতে পারে৷ যেমন জজ বাড়ি (ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন), কলাকোপার ঐতিহাসিক গান্ধী মাঠ, প্রাচীন প্রাসাদ, এন হাউজ, জগবন্ধু সাহা হাউজ এবং খেলারাম দাতার বাড়ি৷ দেখা যেতে পারে বান্দুরার জপমালা রাণীর গির্জাও৷
রাতে থাকার ব্যবস্থা
মৈনট ঘাট এলাকায় রাতে থাকার ভাল ব্যবস্থা এখনও নেই৷ তবে ঢাকার কাছে হওয়ায় দিনে গিয়ে দিনে ফিরে যাওয়াই ভালো৷ নিজেরা গাড়ি নিয়ে গেলে ভ্রমণটা আরামদায়ক হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে মৈনট ঘাট ছাড়াও নবাবগঞ্জের স্থাপনাগুলো দেখা যাবে৷
 
 
Blogger Templates